কোমরছাপানো একঢাল ঘন, কালো কেশরাশি প্রায় সব মেয়েরই স্বপ্ন। চুল যদি ছোট করে কাটাও হয়, তা হলেও ঘনত্ব বেশি না হলে দেখতে ভাল লাগে না। এখন তো আবার চুল পাকার সমস্যাও বেড়েছে কমবয়সিদের মধ্যেও। পাকা চুল ঢাকতে নানা রকম হেয়ার ডাই ব্যবহার করে বিপদ আরও বাড়ছে। একটা সময়ে মা-ঠাকুরমাদের চুলের গোছ ছিল দেখার মতো। সে সময়ে এত রকমের হেয়ারপ্যাক ছিল না। ঘরোয়া উপায়েই চুলের যত্ন নিতেন তাঁরা। তাতেই চুল লম্বা হত, ঘনও হত। বর্তমান ব্যস্ত সময়ে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিচর্যা করা সম্ভব হয় না। বাইরের দূষণ, ক্ষতিকারক রাসায়নিক চুলকে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে। চুল পড়া বন্ধ করতে তাই বাধ্য হয়েই চুল ছোট করে কেটে ফেলতে হয়। না হলে সালোঁয় গিয়ে বিবিধ হেয়ার ট্রিটমেন্ট করাতে হয়। যদি এ সব না করতে চান, তা হলে কী উপায় আছে জেনে রাখা ভাল।
তেল মালিশ; চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ননা রকম ভেষজ তেলের কথা বলা হয়, যেমন জবাফুলেরর তেল, তুলসি, নিম, জলপাই, কাঠবাদামের তেল, আরও কত কী! এদের মধ্যে তুলসির তেল রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য খুবই উপকারী। টাটকা তুলসি পাতা নিয়ে সেগুলিকে শুকিয়ে নিন। ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে রাখতে পারলে ভাল হয়। এ বার একটি কাচের জারে তুলসী পাতাগুলি নিয়ে সেগুলি গুঁড়ো করে পিষে নিন। জারটির মধ্যে নারকেল তেল বা জলপাইয়ের তেল ভর্তি করুন। তুলসি পাতাগুলি তাতে ভাসবে। জারটি রোদে ২-৩ সপ্তাহ রেখে দিন। তার পর ব্যবহার করুন।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খেতেও হবে: বাজারচলতি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার লাগালেই যে চুল ভাল হবে, তা নয়। এর জন্য ডায়েটেও জোর দিতে হবে। চুল ভাল রাখতে রোজ একটি করে আমলকি খেলে উপকার পাবেন। আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জ়িঙ্ক ও বায়োটিন যা চুল ঘন ও উজ্জ্বল করতে পারে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে। চুল ভাল রাখতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আখরোট নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়, অকালপক্কতা দূর হয়। চুলের রুক্ষভাবও দূর হয়।
হেয়ার ড্রায়ার কম ব্যবহার করুন: চুল দ্রুত শুকোনোর জন্য তাড়াহুড়ো করে অনেকেই মাথার তালুর খুব কাছাকাছি নিয়ে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। এতে চুল চটজলদি শুকিয়ে যায় বটে, কিন্তু অতিরিক্ত তাপ সরাসরি প্রভাব ফেলে মাথার তালুতে। এতে চুলের ও মাথার ত্বকের ক্ষতি হয়।
কত দিন অন্তর চুল ট্রিম করবেন: চুল যদি লম্বা করতে চান তা হলে, নিয়মিত চুল ট্রিম করা প্রয়োজন। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ অন্তর ট্রিম করুন।লম্বা চুলের মতোই মাঝারি মাপের চুলেরও প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা ও ট্রিমিং। প্রতি ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ অন্তর অবশ্যই চুল ট্রিম করুন। চুল ছোট করে কাটা থাকলে ৪-৮ সপ্তাহ অন্তর ট্রিম করুন।
ভিজে চুল বাঁধবেন না: তাড়াহুড়ো করে স্নান সেরেই ভেজা চুল কোনও রকমে বেঁধে অফিসমুখো হওয়ার অভ্যাস যদি থাকে, তা হলে চুল তো নষ্ট হবেই। ভিজে চুল ক্লিপ দিয়ে আটকালে অথবা রাবার ব্যান্ড দিয়ে বাঁধলে, চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, চুল খুব জোরে আঁচড়াবেন না। খোলা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে একেবারে ডগা অর্থাৎ নীচ থেকে একটু একটু করে জট ছাড়াতে হবে।
তেল মালিশ; চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ননা রকম ভেষজ তেলের কথা বলা হয়, যেমন জবাফুলেরর তেল, তুলসি, নিম, জলপাই, কাঠবাদামের তেল, আরও কত কী! এদের মধ্যে তুলসির তেল রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য খুবই উপকারী। টাটকা তুলসি পাতা নিয়ে সেগুলিকে শুকিয়ে নিন। ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে। রোদে রাখতে পারলে ভাল হয়। এ বার একটি কাচের জারে তুলসী পাতাগুলি নিয়ে সেগুলি গুঁড়ো করে পিষে নিন। জারটির মধ্যে নারকেল তেল বা জলপাইয়ের তেল ভর্তি করুন। তুলসি পাতাগুলি তাতে ভাসবে। জারটি রোদে ২-৩ সপ্তাহ রেখে দিন। তার পর ব্যবহার করুন।
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খেতেও হবে: বাজারচলতি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার লাগালেই যে চুল ভাল হবে, তা নয়। এর জন্য ডায়েটেও জোর দিতে হবে। চুল ভাল রাখতে রোজ একটি করে আমলকি খেলে উপকার পাবেন। আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জ়িঙ্ক ও বায়োটিন যা চুল ঘন ও উজ্জ্বল করতে পারে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে। চুল ভাল রাখতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আখরোট নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়, অকালপক্কতা দূর হয়। চুলের রুক্ষভাবও দূর হয়।
হেয়ার ড্রায়ার কম ব্যবহার করুন: চুল দ্রুত শুকোনোর জন্য তাড়াহুড়ো করে অনেকেই মাথার তালুর খুব কাছাকাছি নিয়ে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। এতে চুল চটজলদি শুকিয়ে যায় বটে, কিন্তু অতিরিক্ত তাপ সরাসরি প্রভাব ফেলে মাথার তালুতে। এতে চুলের ও মাথার ত্বকের ক্ষতি হয়।
কত দিন অন্তর চুল ট্রিম করবেন: চুল যদি লম্বা করতে চান তা হলে, নিয়মিত চুল ট্রিম করা প্রয়োজন। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ অন্তর ট্রিম করুন।লম্বা চুলের মতোই মাঝারি মাপের চুলেরও প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা ও ট্রিমিং। প্রতি ৬ থেকে ১২ সপ্তাহ অন্তর অবশ্যই চুল ট্রিম করুন। চুল ছোট করে কাটা থাকলে ৪-৮ সপ্তাহ অন্তর ট্রিম করুন।
ভিজে চুল বাঁধবেন না: তাড়াহুড়ো করে স্নান সেরেই ভেজা চুল কোনও রকমে বেঁধে অফিসমুখো হওয়ার অভ্যাস যদি থাকে, তা হলে চুল তো নষ্ট হবেই। ভিজে চুল ক্লিপ দিয়ে আটকালে অথবা রাবার ব্যান্ড দিয়ে বাঁধলে, চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, চুল খুব জোরে আঁচড়াবেন না। খোলা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে একেবারে ডগা অর্থাৎ নীচ থেকে একটু একটু করে জট ছাড়াতে হবে।
ফারহানা জেরিন